(: .....কারণ ও প্রতিকার..........হেলথ টিপস.... :)
আসসালামু আলাইকুম.. কেমন আছেন সবাই আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন, তো আজকের আলোচনায় আপনাদের সামনে একটি বিষয় কিছু শেয়ার করতে যাচ্ছি। সেটা হচ্ছে কারণ ও প্রতিকার বিষয় নিয়ে আজকে মূল আলোচনা হবে। তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করি ।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মানুষ শারীরিক-মানসিক যেসব জটিলতায় ভুগছেন, তন্মধ্যে অনিদ্রা অন্যতম। বিশেষজ্ঞাদের মতে অনিদ্রা এখন অন্যতম স্নায়ুবিক রোগ। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মানুষ বিভিন্নভাবে এ সমস্যায় আক্রান্ত। শতকরা আক্রান্ত৮০ ভাগ মানসিক রোগ অনিদ্রার কারণে সৃষ্ট। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে অনিন্দ্রা মানসিকে রোগের প্রধান কারণ।
স্বাস্থের জন্য ঘুম অপরিহার্য। পর্যান্ত ঘুম না হলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, বিষণ্নবোধসহ কাজে মনেোযোগ থাকে না, সিদ্ধান্তহীনতা দখা দেয়। মেজাম খিটমিটে ও উত্তেজিত হয়ে যায়। স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। যাদের রাতে ভালো ঘুম হয় না, তারা কখনো এ কথা দাবি করতে পারবে না যে, তারা সুস্থ আছে। মনে রাখতে হবে, শারীরিক ও মানসিক উভয় প্রকার সুস্থতার জন্য পরিমিত ঘুম দরকার। ভালো গুম আপনার যে কোন রোগ পঞ্চাশ সেরে তুলবে।
ঘুমের সময়:
ঘুমের সঠিক ও প্রকৃত সময় রাত। অনেকে মনে দিন হোক বা রাত, ঘুম হলেই হল। এটি ভুল ধারণা। শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির জন্য রাতের নিশ্চিন্দ্র ঘুম অপরিহার্য।
কতটুকু ঘুম প্রয়োজন
গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিক ও মানসিক উভয় প্রকার স্বাস্থ্যের জন্য পর্যান্ত ঘুম অপরিহার্য। একজন মানুষের জন্য কয় ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন তা নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, শারীরিক গঠন ও পরিশ্রমের উপর। নবজাতক শিশু 24 ঘন্টার মধ্যে 17/18 ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমায়। কিশোর বয়সে ঘুমের পরিমাণ 9/10 ঘন্টা। প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের জন্য 6-8 ঘন্টা যথেষ্ট। বৃদ্ধ-প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য রাত্রে একটানা 3/4 ঘন্টা ভালো ঘুম দরকার। বাকি সময় ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঘুম হতে পারে। আবার েএমনও দেখা যায় ,যে, কেউ কেউ 24 ঘন্টার 3/4 ঘন্টা ঘুমিয়ে দিব্যি আরামে আছেন। এটা ব্যতিক্রম।
অনিদ্রা
অনিদ্রা কোন রোগ নয়, বরং রোগলক্ষণ। বিভিন্ন কারনে যে কোন বয়সের যে কেউ অনিদ্রায় ভূগতে পারেন। এ জাতীয় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে তার জন্য উদ্বিঘ্ন হবার কোন কারণ সেই। কিছু নিয়ম মেনে চললে অনিদ্রা কেটে যাবে।
ধুমপান মাদকদ্রব্য সেবন সম্পরূপে পরিহার করতে পারলে ঘুমের জন্য ভাবতে হবে না। ক্ষুধা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ক্ষুধা নিয়ে ঘুমানো যাবে না। শোয়ার আগে আলো নিভিয়ে দিন। অন্ধকার ঘুমের সহায়ক। শোয়ার কোলাহলমুক্ত রাখুন। বালিশ-বিছানা আরামদায়ক কি না দেখে নিন। অনেক সময় বালিশের কারণে ঘাটব্যথা-সহ নানা জটিলতা তৈরি হয়।
মধূ, দুধ, কলা ঘুমের সহায়ক। মধুতে থাকা গ্লকোজ ঘুমের ব্যাঘাত সুষ্টিকারি ওরিক্সেনের পরিমাণ কমাতে সাহায্যে করে। দুধ মাংসপেশিকে শিথিল করে, কলায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম। শোয়ার আগে সামনে মধু, এক গ্লাস বা এক কাপ হালকা গরম দুথ, একটি কলা খেলে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে।
রাতে শুয়ার আগে গাসলের অভাস করতে পারলে ভালো।
Post a Comment